লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৫৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০ জনই শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ হাজার ৮৩৫ জন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর আল জাজিরার
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েক দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর থেকে হিজবুল্লাহ লেবাননে যত অবকাঠামো তৈরি করেছিল, তা ধ্বংসের অভিযানে নেমেছে ইসরায়েল।
দেশটির সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এরই মধ্যে হিজবুল্লাহর ১ হাজার ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হামলায় বিনতে জবেইল, আইতারুন, মাজদাল সেলেম, হুলা, তোরা, কলাইলেহ, হারিস, নাবি চিত, তারায়া, শ্মেস্টার, হারবাতা, লিবায়া ও সোহমোরসহ কয়েক ডজন শহরকে লক্ষ্য করা হয়েছে।
একদিকে ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহকে টার্গেট করে বিমান হামলা চলাচ্ছে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে রকেট নিক্ষেপ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ বলেছেন, লেবাননে বেসামরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়।
সল্টমার্শ জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল সারাদিন ও রাতে হাজার হাজার মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে এমন এই সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি বলেছেন, লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলি পদক্ষেপের ব্যাপারে তেহরান উদাসীন থাকবে না।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েলের অপরাধ বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। এখান থেকে চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
তাছাড়া লেবাননে গাজার মতো পরিস্থিতি হতে দেওয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেছেন, লেবাননকে আরেকটি গাজায় পরিণত হতে দেওয়া যাবে না।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা অবশ্যই ইসরায়েলের হাতে লেবাননকে আরেকটি গাজা হতে দিতে পারি না।