প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ দাবি করেছেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইন্সটিটিউট বিভাগ ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমে আমি অংশও নেইনি। এমনকি ছাত্রলীগের কোনো পদ-পদবির জন্য কাউকে কখনই সিভি দেইনি।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এস এম ফরহাদ এসব কথা বলেন।
এস এম ফরহাদ বলেন, সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে আমার (এস এম ফরহাদ) কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের কোনো পদ-পদবির জন্য কোনো সিভি আমি কখনো কাউকে দিইনি। ডিপার্টমেন্টের কমিটিতে কাকে রাখা হবে সেটা সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে যেখানে আমি ডিপার্টমেন্ট ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। এই বিষয়টিকে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের স্পিরিট ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র মনে করি।
ফরহাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি গত রবিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। আরেকটি ছবিতে ডিবেটিং ক্লাবের একটি ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তানভীর হাসান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব সিরাজীর পাশে ফরহাদকে বসতে দেখা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিবৃতিতে ফরহাদ বলেন, আমি হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় বিতর্কের বিভিন্ন আয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, যার সব কটিই ছিল ডিবেটিং ক্লাব সংশ্লিষ্ট আয়োজন, কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আসে ছাত্রশিবির। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করে প্রকাশ্যে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের ছাত্র।
সাদিক কায়েমের প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেক্রেটারি জেনারেলের পরিচয় নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হলে এদিন সেক্রেটারি জেনারেল এস এম ফরহাদের পরিচয়ও জানা যায়। ফরহাদ সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।