প্রকাশ: রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী বাঘা উপজেলা সদরে অবস্থিত ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যারয় কৃষি ও কারিগরি কলেজের দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদের অপসারনের দাবিতে হাজারো ছাত্রছাত্রী ক্লাস বর্জন ও মানব বন্ধন করে।
ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় কৃষি ও কারিগরি কলেজের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ গত ১৪ই আগষ্ট ২০১৯ইং সালের সাবেক অবৈধ সভাপতি শাহদৈালা সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে নিয়োগ গ্রহন করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান শুরু করেন যোগদানের পর থেকেই তিনি ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তিনি রাতের অন্ধকারে সাবেক সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম এর আড়ানির বাসায় জামায়াত ইসলাম থেকে আওয়ামীলীগ এ যোগদান করেন, এরপর থেকে আওয়ামীলীগ নেতা হয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলো,তার প্রতিষ্ঠিানের কোন শিক্ষক এই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই ঐ শিক্ষকের প্রতি কারণ দর্শানো নোটিশ ও দুর্বব্যবহার মানষিক অত্যাচার করতো।
সে গত ৩১শে জুলাই ২০২২ইং সালে রাতের অন্ধকারে গোপনে তার আপন ভাইকে দাতা সদস্য ও তার চাচাতো ভাই আওয়মীলীগ নেতা সিরাজুল হক মুন্টুকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি গঠনের পর থেকে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করে।প্রায়দিন সন্ধ্যার পরে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আব্দুল হামিদ তার অফিস কক্ষে ভুড়িভোজের আয়োজন করতো। আব্দুল হামিদ ও সভাপতি সিরাজুল হক মুন্টু গত ১১-০৫-২০২৪ইং তারিখে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২ জন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট সহ ৪ জন কর্মচারীকে নিয়োগ প্রদান করেন। এই নিয়ে ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে, এই নিয়ে শিক্ষার্থীরা থানাচত্তর,ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্য়ালয়ে উপিস্থত হয়ে আব্দুল হামিদের অপসারনের দাবিতে মানব বন্ধন করেন। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভিডিও কলে প্রতিবাদকারীদের সাথে বল্লে তিনি বলেন সঠিক তদত্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনআনুগ ব্যবস্থা নিবেন এই প্রতিশ্রুতী দিলে প্রতিবাদকারীরা ফিরে আসলে আবারো তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্তরে বিক্ষোভ করতে থাকলে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকগন ছাত্রছাত্রীদের শান্ত করেন।
উল্লেখ্য আব্দুল হামিদ তার পদ বহাল রাখার জন্য সকল শিক্ষকদের নিয়ে গোপন মিটিং করেন। এ বিষয়ে আব্দুল হামিদের সাথে কথা বল্লে তিনি উপস্থিত গনমাধ্যমকর্মীদেরকে বলেন, আমার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবার করেছে তারা সবাই আমার ছাত্র না। তিনি আরো বলেন যে সকল ছাত্ররা ক্লাসের পিছনের বেঞ্চে বসে ও পরিক্ষার ফি সময়মত দেয় না তারাই এই সমস্ত প্রতিবাদ করেছেন, তিনি আরো বলেন আমার প্রতিষ্ঠানে ৬৭ জন শিক্ষক রয়েছেন এর মধ্যে ২৩ জনের বেতন হয় নাই, এই কারনে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ২৩ জন শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়। এই বিষটি মাসিক মিটিং এ ইউএনও স্যার কে জানানো হয়েছে বলে তিনি ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি অফিসের কাজে রাজশাহী ডিসি স্যারের অফিসে মিটিং এ থাকায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আজকের ইসলামী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ এর বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ ও মানব বন্ধনের ভিডিও ও ছবি পেয়েছি। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে।