প্রকাশ: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বর্তমান সরকারের তিন উপদেষ্টা। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার পর রাঙামাটি জেলার সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে এ বৈঠকে বসেছেন তারা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত তিন উপদেষ্টা হলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমানে সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে স্থানীয়দের সঙ্গে তারা উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মতবিনিময় চলছে। এতে উপস্থিত আছেন বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে বিজিবি হেড কোয়ার্টারে পৌঁছান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ (অব.) তিন উপদেষ্টা।
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে শুক্রবার সংঘর্ষের পর ওইদিন রাত থেকেই সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশের সম্মিলিত টহল বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় রাঙামাটির পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের সভা-সমাবেশ হয়নি। অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় মূল সড়কে গাড়ি নেই, তবে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।
এদিকে, তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের শুরুতেই তিন জেলায় দূরপাল্লার কোনও যানবাহন চলছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শনের একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর জনৈক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সকল জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।