চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার চলমান প্রথম টেস্টে টাইগারদের জয়ের জন্য ৫১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল ভারত।
চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই রান তোলার পথে শুভমান গিল ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন, আর ঋষাভ পান্তের ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রান।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতীয় দলের এই ইনিংস ঘোষণা এমন সময় আসে যখন দলটি প্রথম ইনিংসে সফরকারী বাংলাদেশকে ১৪৯ রানে অলআউট করে এগিয়ে থাকে।
তাই বাংলাদেশের ওপর পাহাড়সম এই রান চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে নিশ্চিতভাবে। গিল ও ঋোভ পান্তের শতকে ভর করেই ভারত বিশাল এই লিড নেয়।
মারাত্মক গাড়ি দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে দুই বছর পর মাঠে ফেরা পান্তও তার কামব্যাক ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করে বাংলাদেশের দুর্বল বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ শতক তুলে নেন।
বাংলাদেশের জন্য এই ৫১৫ রানের লক্ষ্য টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, কোনো টেস্টে তারা এর চেয়ে বড় রান তাড়া করতে নেমেছেই মাত্র তিনবার। তবে চতুর্থ ইনিংসে এত বড় রান তাড়ায় বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড হতাশাজনক। এর আগে ২১ বার ৪০০ বা তার বেশি রান তাড়া করতে হয়েছে বাংলাদেশকে, কিন্তু কখনোই জয় পায়নি। মাত্র একবার ড্র করতে পেরেছে, বাকি ১৯টি ম্যাচেই হারতে হয়েছে।
টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড মাত্র ২১৫, ২০০৯ সালে গ্রেনাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাই ভারতের দেওয়া ৫১৫ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশের জন্য একটি পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ দলকে এই বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে সম্মান রক্ষা করতে পারবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। দলের আত্মবিশ্বাস চরমভাবে নড়বড়ে অবস্থায় থাকায় ব্যাটিংয়ে অসাধারণ কিছু না ঘটলে এ যাত্রায়ও কঠিন পরাজয়ের মুখোমুখি হতে পারে টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ৬ ওভারে ৩৩/০, লক্ষ্য ৫১৫ (জাকির ২৩*, সাদমান ৯*)
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৬৪ ওভারে ২৮৭/৪ ডি., লিড ৫১৪ (রাহুল ২২*, গিল ১১৯*: রোহিত ৫, জয়সওয়াল ১০, কোহলি ১৭, পান্ত ১০৯)
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৭.১ ওভারে ১৪৯/১০ ( মিরাজ ২৭*; সাদমান ২, জাকির ৩, মুমিনুল ০, শান্ত ২০, মুশফিক ৮, লিটন ২২, সাকিব ৩২, হাসান ৯, তাসকিন ১১, নাহিদ ১১)
প্রথম ইনিংসে ভারত ৯১.২ ওভারে ৩৭৬/১০ (সিরাজ ০*; রোহিত ৬, গিল ০, কোহলি ৬, পান্ত ৩৯, জয়সওয়াল ৫৬, রাহুল ১৬, জাদেজা ৮৬, আকাশ ১৭, অশ্বিন ১১৩, বুমরা ৭)