প্রকাশ: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ইসলামি ঐক্য সম্মেলন চলছে ইরানের রাজধানী তেহরানে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ৩৮তম এই সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ইরানের জাতীয় সংগীত গেয়ে শুরু করা হয় সম্মেলন। এ সময় দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আফগানিস্তানের তালেবান হজ ও ওয়াক্ফ বিষয়ক উপমন্ত্রী আজিজোররহমান মনসুর।
জাতীয় সংগীত চলার সময় না দাঁড়ানোর জন্য ইরান কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানালে সেটিও প্রত্যাখ্যান করেন এই তালেবান কূটনীতিক।
না দাঁড়ানোর বিষয়টি নিয়ে শুরুতে গুঞ্জন উঠলেও, পরে নিজেই এক্সে পোস্ট করা জাতীয় সংগীত চলাকালীন একটি ভিডিওতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন মনসুর। ওই সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানও উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওটি পোস্ট করে মনসুর বলেছেন, ‘আমাদের জন্মভূমিতে গানটি বাজলে আমরা বসে থাকি এবং আমি আমাদের রীতিটিই অনুসরণ করেছি।’
আফগানিস্তানে ইরানের বিশেষ প্রতিনিধি হাসান কাজেমি কওমি তালেবান কর্মকর্তা মনসুরের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। বিষয়টিকে তিনি ‘কূটনৈতিক নীতির অসম্মান’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘সংগীতের ওপর শরিয়াভিত্তিক নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে কূটনৈতিক নীতিকে অসম্মান করার কোনো ভিত্তি বা বৈধতা নেই।’
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা মনসুর আন্তর্জাতিক ইসলামি ঐক্য সম্মেলনে তালেবান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এর আগে পাকিস্তানের পেশোয়ারেও এই ধরনের আরেকটি কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তালেবান কূটনীতিকেরা। সেখানে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তালেবান কূটনীতিকেরা পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত চলার সময় বসে ছিলেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে এই কাজের তীব্র নিন্দা জানায়। এ ঘটনার জের ধরে পরে ইসলামাবাদে নিযুক্ত তালেবান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সতর্ক করেছিল পাকিস্তান সরকার।
সর্বশেষ ইরানেও জাতীয় সংগীতকে অবমাননার ঘটনায় দেশটির রাজনীতিবিদেরা তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির জ্যেষ্ঠ সহকারী মোহাম্মদ আলী আবতাহি বলেছেন, ‘পাকিস্তান ও ইরানের জাতীয় সংগীতের প্রতি তালেবানদের অসম্মান এবং দাঁড়াতে অস্বীকার করার মতাদর্শগত গোঁড়ামি রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলনে তালেবান প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়াও ঠিক হয়নি বলে মনে করেন আবতাহি। সূত্র: ইরান ইন্টারন্যাশনাল