প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন,শেখ হাসিনার শাসনামলের ১৭ বছরের প্রতিটা রাত ছিলো কালো রাত, মানুষ ছিলো বন্দি কারাগারে, কেউ মন খুলে কথা বলতে পারে নাই। বাবা ছেলে দুজন এক সাথে খাবার খাচ্ছে, সে সময় ছেলেকে তুলে নেওয়া হতো। বিদেশে বসে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে,তার পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। এই ১৭ বছর মানুষের জন্য প্রতিটা রাত ছিলো কালো রাত।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত কামনা, আহত এবং শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারা বিডিআর হত্যা করেছে, হত্যা করে ড্রেনে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীদেরকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, অনেক যুবককে দেখেছি বিয়ে করে জেলে গিয়েছে তারপর আর ফিরে আসেনি। এদেশের শত্রুরা জানে জামায়াত ইসলামী ভাঙবে তবু মচকাবে না। জামায়াতের সিনিয়র নেতাদেরকে তারা সাজানো মামলা দিয়ে শীর্ষ স্থানীয় ১১ জন নেতাকে তারা হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন ঐক্যের মাধ্যমে যে পরিবর্তন এসেছে। যে কোন মূল্যে এই স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। যে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন ছিল, তা কোন অবস্থায়ই যেন আবার বাংলাদেশে ফিরে না আসে, তার ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, কেউ আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে পারবে না।
বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী,টাঙ্গাইল জেলা শাখার আমীর আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ,জেলা সেক্রেটারী মো. হুমায়ুন কবীর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ একরামুল হক সাজিদের পিতা জিয়াউল হক, শহীদ আবীরের বোন সৈয়দা আক্তার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোললের সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন মতিউল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতায় দোয়া করা হয়। এর আগে সকালে টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী,টাঙ্গাইল জেলা শাখার রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।