দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কারাগার থেকে ছয় মাস পর জামিনে মুক্ত হবার পর রোববারই প্রথম জনসভা ছিলো এই আপ নেতার। সেখান থেকেই নিজের পদত্যাগের নাটকীয় ঘোষণা দেন তিনি।
এই বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কেজরি বলেন, জনগণ তাদের রায় ঘোষণা না করা পর্যন্ত আমি সেই চেয়ারে বসব না। দিল্লিতে নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি। আমি আইনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি, এখন আমি জনগণের আদালত থেকে ন্যায়বিচার চাই। শুধু জনগণ চাইলেই আমি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব।
তিনি বলেন, আমি দিল্লির জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, অরবিন্দ কেজরিওয়াল কি নির্দোষ নাকি দোষী? আমি যদি কাজ করে থাকি তবে আমাকে ভোট দিন। জানা গেছে, দুদিনের মধ্যেই আপ বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। সেখানেই ঠিক হয়ে যাবে আগামী কয়েক মাসের জন্য কে হচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
এই সময় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে কেজরিওয়াল আরও দাবি করেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত দিল্লির নির্বাচন, মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের সঙ্গে নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র বাঁচাতে গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।
সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন রয়েছে দিল্লি রাজ্যে। রোববারের সভা থেকে কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এগিয়ে এনে চলতি বছরের নভেম্বরে নির্বাচন করা হোক। উল্লেখ্য, নভেম্বরে মহারাষ্ট্রেও নির্বাচন রয়েছে।
কেজরি আরও বলেন, তারা (কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী) সিদ্দারামাইয়া, (কেরালার মুখ্যমন্ত্রী) পিনারাই বিজয়ন, (বাংলার মুখ্যমন্ত্রী) মমতা দিদির (ব্যানার্জি) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বিজেপি নন এমন মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আবেদন করতে চাই, তারা যদি মামলা করে তাহলে পদত্যাগ করবেন না। এটি তাদের নতুন খেলা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ইডি এবং সিবিআই। জেলে বসেই আপ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সরকার চালাচ্ছিলেন কেজরিওয়াল। পদ থেকে ইস্তফা দেননি।
কিছুদিন আগে ইডির মামলায় জামিন পেলেও দুদিন আগে কেজরি সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পান এবং তারপরেই কারাগার থেকে মুক্তি পান। জেল থেকে বেরিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আমজনতার কোর্টেই বল ঠেলে দিলেন কেজরিওয়াল।