সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধে ড. ইউনূসকে ভারতীয় ৪ সংগঠনের চিঠি
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের অযথা হয়রানি, অযাচিত বিধিনিষেধ ও মামলা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছে ভারতের সাংবাদিকদের চারটি সংগঠন।
গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এই চিঠিতে একই সঙ্গে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
চিঠিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৫২ জন সাংবাদিককে হত্যা মামলায় জড়ানো, তাদের কয়েকজনকে কারারুদ্ধ করা এবং অনেকের বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ দায়ের করা মতপ্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের যে চারটি সংগঠন যৌথ ভাবে এই চিঠি দিয়েছে এগুলো হলো- ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়া (এফসিসি), প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া (পিসিআই), ইন্ডিয়ান উইমেনস প্রেস কর্পস (আইডব্লিউপিসি) এবং প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (পিএ)।
দিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়ার (এফসিসি) পক্ষ থেকে এস ভেংকট নারায়ণের স্বাক্ষরে যৌথ চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৫২ জন জ্যেষ্ঠ সংবাদকর্মীকে হত্যার মামলায় জড়ানো হয়েছে, যাদের কয়েকজনকে ইতোমধ্যে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অযাচিত অভিযোগ করা হয়েছে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলা হয়, আমরা আশা করি আপনিও আমাদের সঙ্গে একমত হবেন যে, একটি মুক্ত সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের গর্ব হওয়া উচিত। ভিন্নমত দূর করা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দমন করা শুধু আপনার প্রশাসনের নয়, একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে।
যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার শত্রু তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।
অনুরোধ করা হয়, বিশ্বব্যাপী সম্মানিত একজন নোবেল শান্তি বিজয়ী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এসব বিষয়ে (মামলা) হস্তক্ষেপ করবেন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন, যাতে তারা ভয় ও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।
বিশ্বব্যাপী সম্মানিত শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ড. ইউনূসকে অনুরোধ করে চিঠিতে বলা হয়, ব্যক্তিগতভাবে এসব বিষয়ে (মামলা) হস্তক্ষেপ করুন এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন যাতে তারা ভয় ও পক্ষপাত ছাড়াই তাদের কাজ করতে পারে।
চিঠিতে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হয়।