টানা শ্রমিক অসন্তোষের পর নানা উদ্যেগে শান্ত হতে শুরু করেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল। শ্রমিকদের উপস্থিতি বাড়ছে পোশাক কারখানাগুলোয়। তবে এখনো বন্ধ আছে ৩৬টি পোশাক কারখানা, ছুটি দেওয়া হয়েছে ১৩টিতে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সকালেও খুললেও আশুলিয়া এলাকার মদিনা অ্যাপারেলসসহ কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কিছু কারখানায় শ্রমিকরা কাজে আসেননি। আবার যারা এসেছে তারাও অনেকে কাজে যোগদান করেননি।
এছাড়াও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কিংবা অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার কথা জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, আগের বন্ধ কারখানার মধ্যে শনিবারও ১৩(১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছেন জামগড়া এলাকার টম লিয়ন ফ্যাশন (বিডি) লিমিটেডসহ ৩৬টি কারখানা।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার বিকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফ্যান্টাসি কিংডম মাঠে চলমান নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা থেকে গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচাতে শ্রমিক-জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সমাবেশে যোগ দিয়ে বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারখানা চালু থাকলে আপনি বাঁচবেন, আমরা বাঁচবো, দেশ বাঁচবে।’
শ্রমিকদের দায়িত্ব তাদের শিল্প রক্ষা করা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই ক্লান্তিকালে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময়ে যারা গার্মেন্টস শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেশকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
বিজিএমইএ এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘শনিবার থেকে আশুলিয়ার বন্ধ কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাজীপুরের কারখানাগুলোও খুলবে। যেসব মালিক কারখানা খোলার বিষয়ে ইতিবাচক মনে করবেন, তারা খুলবেন। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে শিল্পাঞ্চলে আরও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া যৌথ বাহিনীর অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। বিশৃঙ্খলাকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি দেওয়ার জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিজিএমইএ এর আশ্বাসের পর শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন এবং উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন। গত কয়েকদিনের তুলনায় কারখানায় উপস্থিতির হারও বেশি ছিল।