গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন ভবানীপুর এলাকায় বেক্সিমকো গ্রুপের বিগবস কারখানায় বেতনের দাবিতে অন্দোলনরত শ্রমিকরা আগুন দিয়েছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই কারখানা আগুন দেন। সকাল থেকে ওই কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের (জোন-২) পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিগবস কারখানায় অন্দোলনকারী বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আগুন দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার পথে অন্দোলনকারী শ্রমিকরা তাদের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ জন্য ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ওই কারখানায় ঢুকতে পারেনি। বেলা ১১টার দিকে লাগা এ আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
এসপি সারোয়ার আলম বলেন, ‘গাজীপুরের কাশিমপুর থানার সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে একাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। ওই কারখানার মালিক শিল্পপতি সালমান এফ রহমান। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানাগুলোতে প্রায় ৩২ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। যাদের বেতনের পরিমাণ প্রতি মাসে ৮২ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবি জানিয়ে আসছেন। মঙ্গলবার কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করলেও বেশির ভাগ শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে তা যায়নি। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা আন্দোলন ও বিক্ষোভ করেন। বুধবার সকাল থেকে একই দাবিতে শ্রমিকরা কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ বলছে তারা বেতন দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু শ্রমিকরা তাদের সময়ই দিচ্ছেন না। শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। তবে আশা করা যাচ্ছে, আজকের মধ্যেই সবার বেতন পরিশোধ করবে কর্তৃপক্ষ।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। এখন পর্যন্ত আগুন জ্বলছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন, ‘বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছিল। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে কর্মীরা চলে আসেন। পরে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। তারা সহযোগিতা করলে আমরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করবো।’