প্রকাশ: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ছবি : সংগৃহীত
গণপিটুনিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মেডিকেল সেন্টারের কর্মকর্তা ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও কেন্দ্রীর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর মতিহার থানায় নিহতের ভাই মো. বেহেস্তী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান মামলা দায়ের করার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, মাসুদের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এটি মতিহার থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। এখন তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (৩২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের স্টোর কিপার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে যোগদান করেন। যোগদানের পর কর্মসূত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবিলী অফিসারস কোয়াটার্সে সপরিবারে বসবাস করছিলে মাসুদ। গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নবজাতক সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে বিনোদপুর বাজারের একটি ফার্মেসিতে যান। সেখানে গেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মাসুদকে মারধর করে প্রথমে মহিতার ও পরে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানোর জন্য নিয়ে যান।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বোয়ালিয়া মডেল থানায় গ্রেফতার না দেখানোর জন্য উত্তেজিত ছাত্র-জনতা থানা ঘেরাও করে এবং ওসির সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ায়। পরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স মাসুদকে বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদ মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়।