প্রকাশ: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কয়েক দিনের শ্রমিক অসন্তোষে সাভারের আশুলিয়ার ৪৫টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আরও ২৫টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার পরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে কারখানা গেটে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। এতে কারখানার শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ করেন।
বন্ধ কারখানাগুলো হলো ভারচুয়াল বটয়ম, মন্ডল নিটওয়্যারস লিমিটেড, সিগমা ফ্যাশনস লিমিটেড, হা-মীম গ্রুপ, ক্রসওয়্যার ইন্ডান্ট্রিজ লিমিডেট, জিন্স প্রোডিউসার লিমিটেড, অরুনিমা গ্রুপের অরুনিমা স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড এবং ডিএমসি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এস এম নিটওয়্যারস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, মানতা অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ ৪৫টি পোশাক কারখানা।
শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে টানা কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে। কিন্তু মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কয়েক দফায় বসলেও কোনো ফলপ্রসূ সিন্ধান্ত হয়নি। এতে শ্রমিকদের ক্ষোভে কয়েক দিন কয়েকটি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে আজকে সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে কারখানার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখতে পায় বলে জানান শ্রমিকরা।
ক্রসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেট নামে একটি পোশাক কারখানায় গেটে ঝুলছিল বন্ধের নোটিশ। সেখানে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে করে কর্তৃপক্ষ লিখেছেন, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে গামের্ন্টেস শিল্পে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ভাঙচুর এবং বেআইনীভাবে ধর্মঘটের কারণে ফ্যাক্টরি পরিচালনার অনুকূল পরিবেশ না থাকায় এবং সার্বিক নিরাপত্তার বাংলাদেশ শ্রম আইনে ২০০৬ ইং এর ১৩(১) ধারায় পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এছাড়া সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো পোশাক কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে ওই সড়কের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ গামের্ন্টেস ও সোয়েটার্স শ্রমিক টেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসেছিল। কিন্তু কারখানার গেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৩ (১) ধারায় বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে বেক্সিমকো পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। তাছাড়া কোথাও বিশৃঙ্খলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।