প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫৪ পিএম আপডেট: ১০.০৯.২০২৪ ১:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পেট্রোবাংলা অফিসে তিতাস গ্যাস কর্মীদের হামলা-ভাঙচুর, ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনে (পেট্রোবাংলা) ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ সময় তারা পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপরও হামলার চেষ্টা করে।
তিতাস গ্যাসে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের প্রতিবাদে পেট্রোবাংলায় ঢুকে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন তারা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয় পেট্রো সেন্টারের নিচতলার অভ্যর্থনা কক্ষে ঢুকে গ্লাস ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় তারা বিক্ষোভ করেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থানের পর তারা চলে যান।
জানা যায়, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লার চুক্তি গত ২১ আগস্ট শেষ হয়ে যায়। মেয়াদ না বাড়িয়ে গতকাল অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর চুক্তি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এরপর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। জিটিসিএল-এর এমডি পদের দায়িত্ব পালনের আগে তিনি পেট্রোবাংলার জিএম ছিলেন।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, তিতাসের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই এমডি নিয়োগ দেয়া হোক।
পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, তিতাসের লোকজনের দাবি হচ্ছে তাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে এমডি করতে হবে। কিন্তু পেট্রোবাংলার সিনিয়রিটির তালিকায় তিতাস গ্যাসের শীর্ষ ৫০-৬০ এর মধ্যেও কেউ নেই। আবার অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই কারণেই তিতাসের বাইরের দুর্নীতির অভিযোগ নেই এমন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এটা করে একশ্রেণির লোকজন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেছি। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।