নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের হাসপাতাল মোড়ের মাইশা ফার্মেসী ও ডেন্টাল ক্লিনিক ভাংচুর ও লুটপাট এর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর থানায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন শাওন (৩২) বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন৷ মামলায় আসামী করা হয় ৩১ জনকে ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন৷ সোমবার স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান মামলার বাদী মোশারফ হোসেন শাওন।
মামলায় আসামীরা হলেন, আব্দুল হান্নান(৫৫), অমিত আকঞ্জি(২৯), সাইফুল ইসলাম(৩০), জহিরুল ইসলাম (৩০), আমিনুল ইসলাম(৪২), ইলিয়াস কাদের জুয়েল (৪৫), বিদ্যুৎ পন্ডিত(৪২), আনিছুজ্জামান রনি (৩২), শাহাদাত হোসেন (৩৬), আলাল সর্দার(৫৫), মো. মোজ্জামেল(৩৮), হেলাল উদ্দিন হেলাল(৪০), মাজহারুল ইসলাম (৩৫), মঙ্গন উদ্দিন (২৬), সোহানুর রহমান সোহান(৩৩), আল আমিন(৩২), সাজু মিয়া, নিজাম ওরফে মুরগী নিজাম(৫৬), বাদল কমিশনার (৫২), তুষার(২৩), নিলয় মুন্সি(২৮), মোমেন ইবনে সাঈদ ষ্ট্যালিন(৩৫), তৌকির মোল্লা(২৭), রনি বাউল (৩০), আরিফুল ইসলাম পাপন(৩৮), আহাম্মদ মড়ল( ৪২),রাজন মিয়া(৩০), আজহারুল ইসলাম আরিফ(৩০), সাফায়েত হোসেন কায়েস(২৫), ফারুক(৪৮), মোখলেছ খান(৪২)। উল্লেখিত আসামীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তাঁর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলা সূত্রে জানা যায়, মাইশা ফার্মেসী ও ডেন্টাল ক্লিনিক এর মালিক মোশারফ হোসেন শাওন। মামলার স্বাক্ষী মোবারক হোসেন শাওন এর এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতো৷ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের দুর্গাপুর পৌর শাখার আহ্বায়ক। এজন্য শাওন এর সাথে মামলার উল্লেখিত আসামীগনের রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিলো। শাওনকে বিভিন্ন সময় আসামীরা তাদের দলের কর্মী হিসেবে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। আসামীদের কথায় রাজী না হওয়ায় শাওনকে ভয়ভীতি দেখাতো। এরই জেরে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর রোজ শনিবার বিকেল অনুমান ৪ টার সময় মামলায় উল্লেখিত আসামী সহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন দেশীয় অস্ত্র, ইট পাটকেল ও ককটেল নিয়ে শাওন এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। এ সময় আসামীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করলে দোকানে থাকা মোবারক হোসেন ভয়ে দোকান থেকে বের হয়ে পড়ে৷ এ সুযোগ আসামীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙ্গে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে, ও একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ভেঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। ফার্মেসীতে থাকা ৩০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ড্রয়ারে রাখা ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় আসামীরা। মোশারফ হোসেন শাওন আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে থানা পুলিশের কাছে জোর দাবি জানান।
দুর্গাপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম জানান, মাইশা ফার্মেসী ও ডেন্টাল ক্লিনিক ভাংচুর ও লুটপাট এর ঘটনায় প্রতিষ্ঠান মালিক মোশারফ হোসেন শাওন থানায় একটি মামলা করেছে। আসামীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।