বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা সাত চল্লিশে দেশভাগে একতাবদ্ধ ছিলাম, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আমরা একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছি। কিন্তু এখন রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের সময় বিভাজন তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগে যেমন একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছি, ঠিক তেমনি এখনো আমাদেরকে একতাবদ্ধ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে।’
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘চব্বিশের আন্দোলনে আসার সময় কাউকে জিজ্ঞেস করি নাই, কে সরকারি চাকরি করে, কে করে না। কি বিসিএস ক্যাডার, কে ক্যাডার না। কে হুজুর, কে হুজুর না। সুতরাং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদেরকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে।’
এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আপনারা জানেন, ফ্যাসিস্ট শুধু শেখ হাসিনা ছিল না। ফ্যাসিস্ট ইনস্টিটিউট ছিল, ফ্যাসিস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ছিল, ফ্যাসিস্ট থিওলজি ছিল, ফ্যাসিস্ট কালচার ছিল, ফ্যাস্টিস্ট ড্রেসআপ ছিল। আমাদের প্রত্যেকটি জায়গায় ফ্যাস্টিস্ট বিরাজমান ছিল। আপনাদের আশপাশে বাজার কমিটির সভাপতি, মসজিদ কমিটির এবং নাপিত কমিটির সভাপতি ইত্যাদি সংগঠন তৈরি করে সিন্ডিকেট বানিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিজমের বীজ বপন করেছে।’
মতবিনিময় সভায় চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে ইতিপূর্বে যেসব গোপন চুক্তি হয়েছে সেগুলো বাতিল করতে হবে। দেশের সকল মানুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে কোনো দেশের রক্তচক্ষু দেখে আমরা ভয় না পাই।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, হাটহাজারী মাদরাসার সমন্বয়ক মোহাম্মদ জুনায়েদ।
এছাড়াও এতে আরও পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। মতবিনিময় সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের শহীদ তানভীর সিদ্দিকের বাবাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।