প্রকাশ: রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:০৩ পিএম আপডেট: ০৮.০৯.২০২৪ ৩:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশসহ ইউরোপের পরিস্থিতি সামনে রেখে ভারতের পক্ষ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলার বিষয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আমি যতটা উদ্বিগ্ন তার থেকে বেশি অবাক।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের পক্ষ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ইউরোপ ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সামনে রেখে, সেটি বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি যতটা উদ্বিগ্ন তার থেকে বেশি অবাক। যে উনি (ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং) কেন এ কথা বললেন? আমি এটার কোনো কারণ খুঁজে পাই না।
তিনি বলেন, আমি কোনো অবস্থায়ই মনে করি না ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধবিগ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। উনি এটা তার নিজের দেশের কনজামপশনের জন্য বলেছেন কি না সেটা আমাদের বুঝতে হবে। উনি যেভাবে বলেছেন বিটিং অ্যারাউন্ড দ্য বুশ অনেকটা। কারণ ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তো ভারতের যুদ্ধের প্রস্তুতির কোনো প্রয়োজন দেখি না। হামাসের সঙ্গে যে সমস্যা হচ্ছে তাতে করেই বা ভারতের কী সম্পর্ক। ইউক্রেন-হামাসের সঙ্গে বাংলাদেশ কী করে তুলনীয় হয় এটাও আমার বোধগম্যের বাইরে। আমি কোনো রি-অ্যাকশন দেখাতে চাই না। আমরা অবশ্যই দেখবো উনি কেন এ কথা বলেছেন।
এ ধরনের বক্তব্য আমাদের জন্য হুমকি কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখনো মনে করি এটা উনি নিজস্ব অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বলেছেন। কাজেই কোনো অনুমান করতে চাই না।
এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমি এ মুহূর্তে এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই না। কারণ এখন আমি বললাম এটুকু যোগাযোগ হয়েছে সেটা বরং রাখুন। আমি বলেছি এখনই কোনো রি-অ্যাকশন দেখাতে চাই না আমরা। অবশ্যই দেখবো কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে গত বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডারস কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্য রাখেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ। শান্তি রক্ষার জন্য ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস সংঘাত এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে রাজনাথ তার দেশের সামরিক কমান্ডারদের এসব ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণের পরামর্শ দেন। তিনি ভারতের সামরিক বাহিনীকে অপ্রত্যাশিত ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেন।