প্রকাশ: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এতে বিজয় উল্লাস করতে করতে গণভবনে প্রবেশ করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এবার সেই গণভবনকে জাদুঘর করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভুঁইয়া।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গণভবন পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামসহ আরও বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আসিফ মাহমুদ জানান, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিদর্শন করেছি, স্থপতি ও জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আগামীকালের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে।
এসময় উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রনায়ক আসলে কি পরিণত হয় এবং জনগণই যে আসল মালিকানার এবং ক্ষমতার মালিক সেই বিষয়টিকে একটি নিদর্শন হিসেবে পুরা পৃথিবীর বুকে রাখার জন্যই আমরা এই গণভবনটিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি আজকে আমাদের প্রাথমিক ভিজিট ছিল। এখানে যারা দায়িত্বরত আছেন গণপূর্ত এবং স্থাপত্য বিভাগে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের থেকে আমরা প্রাথমিক পরামর্শ নিয়েছি এবং আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো বলেছি, আমরা কিভাবে দেখতে চাই সেটি বলা হয়েছে। এছাড়া ফরমাল কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামীকালকের মধ্যেই হয়তো কমিটি গঠন হয়ে যাবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত জানান আসিফ।
তিনি বলেছিলেন, গণভবন জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি এবং বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে যত অন্যায়–অবিচার হয়েছে, তার সবকিছু সংরক্ষণ করার জন্য এটাকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, সাউথ কোরিয়ায় এমন স্মৃতি মেমোরিয়াল করা হয়েছিল। আরও অন্য দেশেও হয়েছে। তাদের থেকে জেনে গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। সেখানে ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রদর্শিত হবে।