২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়ে অবশেষে ৩ ম্যাচের পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হলো ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর ৩০ মিনিটের একটি দূরপাল্লার শট ব্রাজিলের জন্য বাছাইপর্বে তৃতীয় জয় নিয়ে আসে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বরে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথম থেকেই ব্রাজিল বলের দখলে আধিপত্য বজায় রাখে, খেলাটির গতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইকুয়েডরকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ঠেলে দেয়।
তবে ম্যাচের একমাত্র গোল আসে যখন রদ্রিগো বক্সের বাইরে কিছুটা জায়গা খুঁজে পেয়ে একটি শট নেন, যা ইকুয়েডরের উইলিয়াম পাচোর গায়ে লেগে দিক বদলায় এবং গোলরক্ষক হার্নান গ্যালিন্ডেজকে বিভ্রান্ত করে গোললাইনে পৌঁছে যায়।
যদিও ব্রাজিল মাঠের আধিপত্য বজায় রাখে তবে তারা আক্রমণকে আরও বেশি গোলের রূপ দিতে ব্যর্থ হয়। ইকুয়েডর তাদের নতুন কোচ সেবাস্তিয়ান বেক্কাচেসের অধীনে, তাদের রক্ষণ শক্তভাবে গুছিয়ে রাখে। ব্রাজিলের আক্রমণকারীদের- যেমন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং লুকাস পাকেতার মতো ফুটবলারদের বিভ্রান্ত করতে সফল হয়। যারা বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ইকুয়েডর সমতা ফেরানোর একটি সুযোগ পায়, যখন মোইসেস কাইসেডো পরপর দুটি প্রচেষ্টা করেন-প্রথমে ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসনের কাছ থেকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া শটে ব্যর্থ হন, এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টা গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালায়েস গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল আরও একটি গোলের সন্ধানে আক্রমণ অব্যাহত রাখে। কিন্তু ভিনিসিয়ুস, যিনি ৭৩তম মিনিটে একটি দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে তীক্ষ্ণ কোণ থেকে শটটি নিয়ে ব্যর্থ হন।
অন্যদিকে, ইকুয়েডর পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, এবং তাদের সেরা সুযোগটি প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়েই আসে।
ব্রাজিলের প্রত্যাশিত গোলের মান ইকুয়েডরের তুলনায় কম হওয়া সত্ত্বেও তারা তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বের টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে আসে। অন্যদিকে ইকুয়েডর, যাদের আগেই তিন পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছিল, তাদের দ্বিতীয় হারের পর ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে।
এই জয় ব্রাজিলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা, যারা বাছাইপর্বের দুর্বল শুরুর জন্য এবং কোপা আমেরিকা থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য সমালোচিত হচ্ছিল। সেলেসাও তাদের পরবর্তী ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এই জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করবে, যা অনুষ্ঠিত হবে ১০ সেপ্টেম্বর।
ইকুয়েডরও আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে এবং তারা এই হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে।