প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
অনৈসলামিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফজর নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীরের জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্ততি নেন তার অনুসারীরা। এ সময় দেওয়ানবাগ জামে মসজিদের মুসল্লিরা বাধা দিলে পীরের অনুসারীরা মুসল্লিদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার ভোরে আশপাশের ১০/১৫ গ্রামের মুসল্লিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগে দেওয়ানবাগীর আস্তানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দুটি গরু ও দুটি মহিষ নিয়ে যান তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে দেওয়ানবাগী পীর মাহবুব-এ-খোদা ইসলাম নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে বির্তকিত হন। এ নিয়ে আলেম ওলামাদের মধ্যে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। সে সময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারীদের সঙ্গে এলাকাবাসীসহ মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ২০২০ সালের বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীর মারা যান।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমএ মোহাইমিন আল জিহান জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর এখানে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল একটি পক্ষ। সে হিসেবে সকাল থেকেই পুলিশের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু কে বা কারা ফজর নামাজের পর হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে। দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, সকালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। আর যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।