প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিধি লঙ্ঘন করে ওরিয়ন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন পাওয়ার প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংক অগ্রণী, জনতা ও রূপালী।
এ ক্ষেত্রে অন্তত দুটি নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং একটিতে ব্যাংক কোম্পানি আইন শিথিল করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক তিনটির প্রস্তাবিত ওই ঋণ বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সিন্ডিকেট ফাইন্যান্সিং বা অর্থায়নের মাধ্যমে সম্প্রতি ওই ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সমস্যা জর্জরিত জনতা ব্যাংক এ ঋণের সিংহভাগ অর্থাৎ ৫ হাজার ৭৮ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রূপালী ব্যাংক সূত্র জানায়, এ ঋণ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ঋণটি বিতরণের জন্য পাইপলাইনে রয়েছে, কিন্তু ব্যাংকে তারল্য সংকটের কারণে এ ঋণ বিতরণে দেরি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ওরিয়ন গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানটির একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আনার কথা ছিল। কিন্তু দেশে রিজার্ভসংকট ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতার কারণে বিদেশি ঋণ পায়নি ওরিয়ন। এরপরই প্রকল্পটি বাঁচাতে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক একক গ্রাহকের ঋণসীমা লঙ্ঘন করে ওই ঋণ অনুমোদন করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকও ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় পরিবর্তন এনে তা ওরিয়নের ক্ষেত্রে (বিদ্যুৎ খাত) শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এদিকে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সম্প্রতি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরিয়ন। এ ক্ষেত্রেও এই ঋণ বিতরণে আইনগত জটিলতা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ওরিয়ন পাওয়ার ঢাকা-২ লিমিটেডের (ওপিডিএল-২) আওতাধীন কক্সবাজারের মহেশখালীতে এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিপরীতে অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের কাছে অর্থায়ন চাওয়া হয়।