প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:০০ পিএম আপডেট: ০৫.০৯.২০২৪ ৮:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেস্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গণভবন যেমন ছিল তেমন রেখে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সাউথ কোরিয়ায় এমন স্মৃতি মেমোরিয়াল করা হয়েছিল। আরও অন্য দেশেও হয়েছে। তাদের থেকে জেনে গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। সেখানে ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রদর্শিত হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন ছিল গণভবন। এর আগে কোনো প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা নগরের এই বাসভবনে থাকেননি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শেরেবাংলা নগরে বর্তমান গণভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলে তিনি সেখানে অফিস শুরু করেন। তবে তিনি বাস করতেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে।
এর আগে গণভবনকে জাদুঘর করার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফেসবুক লাইভে এসে ‘শহিদি মার্চ’ প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। এক পর্যায়ে লাইভের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা গণভবনকে একটি জাদুঘর করার জন্য প্রস্তাব দেব।’
২০২৪-এর আন্দোলন নিয়ে একটি জাদুঘর করার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘যে গণভবনটি ছিল, যেখানে ফ্যাসিজমের আখড়া হয়েছিল। আমরা দেখেছি যে, আগে সবাই গণভবনমুখি হয়ে থাকতো। আমরা দেখেছি, কারও ডিভোর্স হয়েছে, সেও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পূর্বাচলে কারও প্লট লাগবে, সেও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পঞ্চগড়ে কারও একটা ব্যক্তিগত সমস্যা, সেও প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অর্থাৎ এই গণভবনটাই ছিল ফ্যাসিজমের একটা আখড়া। এই গণভবনকে স্থায়ীভাবে একটি জাদুঘর করার জন্য আমরা প্রস্তাব করব।’
এরও আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও গণভবনের জায়গায় গণহত্যা মিউজিয়াম তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।