ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বেশিরভাগ শোবিজ তারকা। তবে বিপরীতেও ছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী বেশ কজন তারকা এ আন্দোলনের সময় ঘৃণা ছড়িয়েছেন।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বিনোদন অঙ্গনের কয়েকজনকে নিয়ে গড়া ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট।
ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, ওই গ্রুপে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাকে যাদের অবস্থান ছিল গেল জুলাইয়ে ঘটা ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে তারা সেখানে যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে এমন মতামত দিচ্ছেন। আরেকজন শিল্পী পরামর্শ দিয়েছেন ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢালার। গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস।
গ্রুপের ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা গেছে, কথোপকথন এক পর্যায়ে একজন লেখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না টোকাই জামায়াত ও শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা। এরপর বিপরীতে অরুণা বিশ্বাস উত্তরে বলেন, গরম জল দিলেই হবে।
অন্য একটি পোস্টে একজন সাংবাদিক নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে করা একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসে আল কায়দার মতো জ্ঞান দেয়া হচ্ছে। তার মতো নোংরা, লোভী, হিংসুটে, হিংস্র, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক মেধাবী এই মহাদেশে আর আসেনি, আর আসবেও না।
স্ক্রিনশটগুলো এরইমধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনার তৈরি করেছে। এরমধ্যে অনেকেই অরুনা বিশ্বাসসহ ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়াদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
সেই গ্রুপে সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেমসহ অনেকেই। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।
এদিকে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে এসব শিল্পীদের পুনর্বাসন না করার আহ্বান জানিয়েছেন।