প্রকাশ: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সকল বিভাগ আজকের মধ্যেই চালু হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় গতকাল রোববার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। ওইদিনই হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার আশ্বাসে সন্ধ্যায় জরুরি বিভাগ চালু হলেও এখনো বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ রয়েছে।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুধু বর্হিবিভাগটাই এই মুহূর্তে বন্ধ আছে। বহির্বিভাগ ছাড়া বাকি সকল বিভাগ চালু আছে। আজকের মধ্যেই সকল বিভাগ চালু হবে। আমরা উনাদের (ডাক্তার) সঙ্গে নেগোসিয়েশন করছি। উনাদের মূল দাবি ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সেটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করেছি। আসামির মধ্যে একজন ধরা পড়েছে। আর বাকি যে দাবিগুলো ছিল আপনারা জানেন যে স্বাস্থ্য পুলিশের একটা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সুরক্ষা আইন করা। এটা আসলে একটু সময় সাপেক্ষ। গতকাল উপদেষ্টা মহোদয় এসেছিলেন উনি বলেছেন এগুলো একটু চিন্তা ভাবনা করতে হবে। আপনারা জানেন যে, এই ধরনের আইন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে কথাটা সম্ভব সেটাও বিবেচনা করার বিষয় আছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের দুইজন ডাক্তারের ওপরে যে হেনস্তা করা হয়েছে সে ঘটনায় আমাদের ডাক্তাররা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার পর জরুরি বিভাগ কিন্তু চালু করতে পেরেছি। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জরুরি সেবার সার্ভিস চালু করে গিয়েছিলাম। গতকাল রাতেই আপনারা হয়ত দেখেছেন র্যাব, আর্মি, পুলিশ, বিজিবি, আনসার সকল বাহিনীর সদস্য এখানে নিয়োজিত ছিল এবং এখনো আছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে ডাক্তাররা জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সার্ভিস দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রোগী ভর্তি আছে সেসব ওয়ার্ডে যথেষ্ট পরিমাণ ডাক্তার রয়েছে। আমরা এখন দুইটা ওয়ার্ড দেখে আসলাম সেখানে ৫-৬ জন করে ডাক্তার আছেন। তারপর আইসিইউ, এইচডিইউ, সিসিইউ এসব রোগীদের চিকিৎসা কিন্তু কোন অংশেই ব্যাহত হচ্ছে না এবং এর সঙ্গে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা জড়িত সেসব সার্ভিসও কিন্তু চালু আছে। আমরা আশা করছি আজকের মধ্যেই চিকিৎসকদের যে পূর্ণ কর্মবিরতি সেটা তারা উইথড্র (প্রত্যাহার) করবেন। আমরা তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছি তারা বিবেচনা করছেন।’
ঢামেক পরিচালক বলেন, ‘আপনারা জানেন তাদের যে দুইটা দাবি ছিল একটা ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সেটা আমরা করেছি। আর আসামিদের ধরার একটা দাবি ছিল সেটাই ইতোমধ্যেই যে ২ নাম্বার আসামি সে কিন্তু ধরা পড়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য জোর চেষ্টা চলছে। সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাবসহ সবাই কিন্তু চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা আশা করছি আজকের মধ্যে সকল আসামিরা ধরা পড়বে।’