প্রকাশ: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।
এ আইনটি সংবিধানের ৭, ২১, ২৬, ২৭, ৩১, ৪২, ৪৪, ৪৬, ১৪৩ ও ১৪৫ এর লঙ্ঘন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি-বিশেষ বিধান আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কোন কাজ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। এ আইনকে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিটে।
৬ (২) ধারার বলা হয়েছে, উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যেকোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে; ওই কাজের জন্য মনোনীত করিয়া ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে; অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।
আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগতভাবে বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না-এ মর্মে রুল জারির আর্জিও জানানো হয়েছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে। একইসঙ্গে পছন্দমত ব্যক্তিদের কুইক রেন্টালের সুবিধা দেয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিটকারী আইনজীবীরা।