প্রকাশ: রোববার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আরজি কর কাণ্ডের সূত্র ধরে এখনও উত্তাল ভারত। ধর্ষণের ওই ঘটনায় প্রতিবাদ ও চলমান মিছিলের মাঝেই বিতর্ক উস্কে কঙ্গনা রানাউত বললেন, ‘যদি কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিত, তাহলে ভারত এতদিনে বাংলাদেশ হয়ে যেত।’
এমন মন্তব্য করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যেটা বাংলাদেশে ঘটেছে, সেটা এদেশে ঘটতেও দেরি হতো না। যদি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টা শক্ত হাতে না সামলাতো। এখানে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, সেই অন্দোলনের সময়ও অনেক মৃতদেহ মিলেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো, তখন গোটা দেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। কৃষকরাও ভাবতে পারেননি যে, সত্যিই এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। ওটা অনেক বড় পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশে ঘটেছে।’
বরাবরই কৃষক আন্দোলন নিয়ে নানান মন্তব্য করে আসছেন কঙ্গনা। এমনকি কঙ্গনা একবার বলেও বসেছিলেন, যে কৃষকরা আন্দোলনে বসেছেন, তারা ১০০ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করতে বসেছেন। আর তার এ ধরনের মন্তব্যের কারণেই সাংসদ হওয়ার পর চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কর্তব্যরত এক কৃষক সন্তান জওয়ানের হাতে চড় খেয়েছিলেন কঙ্গনা!
অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের মতো এখানে কৃষক আন্দোলনের নামে একই জিনিস হতে চলেছে। সরকার ফেলার চেষ্টা চলছে এখানে। আর দেশের ভেতরের রাজনীতি যদি কঠিন না হয়, তাহলে বৈদেশিক ক্ষমতার কারণে দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’
এদিকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনার নতুন সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’। সম্প্রতি এই সিনেমার প্রচারে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়েও বিতর্কে জড়ালেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, গান্ধী পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণেই ইন্দিরা নানা সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। ইন্দিরা হলেন, ভারতীয় রাজনীতির ‘স্টারকিড’।
এরমধ্যেই মুক্তির আগে বিপাকে পড়েছে তার ‘ইমার্জেন্সি’। ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ভারতের ‘শিরোমণি গুরু দ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’-র সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি। তার অভিযোগ, কঙ্গনার এই ছবিতে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে বিচ্ছিন্নতাকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।