প্রকাশ: রোববার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারপিট করা হয়। এতে তিনজন চিকিৎসক আহত হন। আহতরা হলেন, নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান, মাশরাফি ও জুবায়ের।
চিকিৎসক ইমরানের অভিযোগ, বিইউবিটির এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো কথা না বলেই ওটি থেকে বের করে তিন চিকিৎসককে মারপিট করে। এমনকি নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড থেকে মারতে মারতে পরিচালকের রুম পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দাবি করেন, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কর্মপরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে এবং যারা আমাদের গায়ে হাত তুলেছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আমরা কর্মবিরতিতে চলে যাবো।
এ বিষয়ে নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক এবং বিইউবিটির ভিসি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভাকক্ষে আলোচনা করেছি। ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি হবে এবং যারা চিকিৎসকদের গায়ে হাত দিয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করার জন্য বলা হয়েছে। এরপর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না দিলে চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে, আমরা মর্মাহত কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাদের চিকিৎসকদের তারা মারপিট করতে পারেন। আমার চিকিৎসকদের যদি কোনো অবহেলা থাকে বা কোনো ধরনের গাফিলতি থাকে তাহলে তারা হাসপাতাল পরিচালকের কাছে এসে অভিযোগ করতে পারতেন। কিন্তু তারা সেটি না করে আমাদের তিন চিকিৎসককে মারপিট করেছে যা বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং মানা যায় না।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়া জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, আজকে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আমি চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করছি তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমি নিলাম। সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছি, এখানে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় জরুরি বিভাগে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন হবে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।