সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮ পৌষ ১৪৩১

শিরোনাম: যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, জখম ৩   আবেগঘন চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা   ইউনূসসহ ২০ উপদেষ্টাকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার খবর ভুয়া   আমাদের কেবিনেটে অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা   খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন ২৯ ডিসেম্বর   বিটিভির সংবাদ পাঠক সালেহ আকরাম আর নেই   নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনশন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এবিএম রাশেদুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। শনিবার (৩১ আগষ্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি পালন করে। এসময় ভিসির বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১টার দিকে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের আশ্বাসে অনশন ভাঙে তারা। 

এর আগে গত কয়েকদিন ধরেই ক্যাম্পাসে ভিসির নিয়মিত উপস্থিতি, স্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ ও হোস্টেল সুবিধা না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এবিএম রাশেদুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরাও।

আন্দোলনের মধ্যেই গত ২৫ আগষ্ট রাতে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাষ্টি বিশ্ববিদ্যালয় অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরে মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বড় ইন্দারা মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে সমাবেশ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ইন্দারা মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পাশাপাশি এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংকের এটিএম বুথের কার্যক্রমও বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা ভেঙে ক্লাস শুরুর দাবি জানান। 

অনশন কর্মসূচিতে ভিসির পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবার পর থেকে সার্বক্ষনিক ভিসি না থাকা, স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকা, পরিমানমত ক্লাস রুম না থাকা, যথেষ্ট ব্যবহারিক ক্লাসরুম ও ইকুপমেন্ট না থাকা, স্থায়ী শিক্ষক না থাকা, হোষ্টেল সুবিধা না থাকায় ছাত্রদের লেখাপড়া দীর্ঘদিন ধরে ব্যাহত হয়ে আসছে। বিশেষ করে বর্তমান ভিসি গত ৪ বছরে ৩ থেকে ৪ বার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন।তিনি নিয়মিত এবং সার্বক্ষনিক ক্যাম্পাসে না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি-দাওয়া উপেক্ষিত থেকে গেছে।

এসময় শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বছরে এক-দুই বার আসতেন ভিসি ড. এবিএম রাশেদুল হাসান। এমনকি তার নিজেরই নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। বর্তমানে ভিসি পর্তুগালে অবস্থান করছে। নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা সচিবকে জানিয়ে বিদেশে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়নি ঠিকমতো। এতো অনিয়ম দূর্নীতি করার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাষ্টি তাকে বহাল রাখতে নানারকম পায়তারা করছে। আমরা এমন কুলাঙ্গারকে ভিসি হিসেবে দেখতে চাই না। 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]