প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ৭:১৩ পিএম আপডেট: ৩১.০৮.২০২৪ ৮:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম সেশনে খুব একটা দ্যুতি ছড়াতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। তবে পরের দুই সেশনে পাত্তা পায়নি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। এক মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত শান মাসুদের দল। গতি আর সুইংয়ে স্বাগতিকদের কাবু করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদও।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। টাইগারদের পক্ষে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ৩ উইকেট পকেটে পুরেছেন তাসকিন আহমেদ।
পাকিস্তানের পক্ষে ফিফটি হাঁকিয়েছেন শান মাসুদ, সাইম আইয়ুব ও সালমান আলী আঘা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ১০ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। সাদমান ইসলাম ৬ রানে আর জাকির হাসান ০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় দিন শনিবার (৩১ আগস্ট) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। আর তাতে বল হাতে প্রত্যাশিত সাফল্যও পেল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। দায়িত্বটা এখন ব্যাটারদের কাঁধে।
পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পর বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন সিরিজ জয়। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন গেছে বৃষ্টির পেটে। দ্বিতীয় দিন টস করতে এসে দুঃসংবাদ দিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কুঁচকির চোটে ছিটকে গেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে ১৪ মাস পর দলে ফিরেছেন তাসকিন। ২২ গজে ফিরেই চমক দেখান তিনি। ইনিংস শুরুর ওভারের প্রথম পাঁচ বলে কোনো রান না দেয়া তাসকিন শেষ বলে তুলে নেন আবদুল্লাহ শফিকের উইকেট। এরপর অবশ্য প্রথম সেশনে টাইগার বোলারদের আর সুযোগ দেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। আধিপত্য চালিয়ে দলের খাতায় ৯৯ রান তুলে নেন মাসুদ ও আইয়ুব। আগ্রাসী মেজাজে ফিফটি তুলে নেন মাসুদ।
তবে দ্বিতীয় সেশনে তাকে স্কোর বড় করার সুযোগ দেননি মিরাজ। ৬৯ বলে ২ চারের মারে ৫৭ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন পাক অধিনায়ক। ৪৩ রান করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়া আইয়ুব অবশ্য ফিফটি হাঁকানোর সুযোগ পান। ১১০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে মিরাজের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর বাবর আজম ও শাকিল দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও তাদের সুযোগ দেননি সাকিব আল হাসান ও তাসকিন। ৭৭ বলে ৩১ রান করা বাবরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। আর ২৮ বলে ১৬ রান করে তাসকিনের লেংথ বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন শাকিল।
দলীয় ২১১ রানে সাজঘরের পথ ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৬৩ বলে ২৯ রান করে নাহিদ রানার বলে তিনি ক্যাচ তুলে দেন শান্তর হাতে। টাইগার বোলাররা যেভাবে চেপে ধরেছিল তাতে ২৫০ রানের আগেই স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে শেষদিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংসে দলকে ২৭৪ রানে পৌঁছে দেন সালমান। তাকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন।
এদিকে প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না পেলেও পরের দুই সেশনে পাকিস্তানকে চেপে ধরার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন মিরাজ। মাসুদ-আইয়ুবের উইকেটসহ তিনি একাই সাজঘরে পাঠান ৫ ব্যাটারকে। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দশম ফাইফারের ইনিংস।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।