প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ২:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিরল ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ এখন ভারতীয় উপকূল থেকে সরে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর কারণে শনিবার (৩১ আগস্ট) কর্ণাটকের উপকূলীয় অঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ-আইএমডি। সেই সঙ্গে গুজরাটে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ কর্ণাটকের পাঁচটি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। দক্ষিণের এই রাজ্যের ৩১টি উপ-বিভাগে সম্ভাব্য ভূমিধসের বিষয়েও সতর্কতা জারি রয়েছে। শনিবার রাজ্যের সব স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের
আইডিএম জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের গুজরাট উপকূল থেকে সরে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর সমুদ্রপথে ওমানের দিকে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আসনা।
আইএমডি অনুসারে, গুজরাটের নালিয়া শহরের পশ্চিম উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটার, পাকিস্তানের করাচির উপকূল থেকে ১৬০ কিলোমিটার এবং বেলুচিস্তানের পাসনি উপকূল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আসনা।
তবে আসনার প্রভাবে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র-কচ্ছের জামনগর, পোরবন্দর, দ্বারকা ও কচ্ছ জেলার বিচ্ছিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।ফলে ঝড়ের দাপট না থাকলেও এর জেরে ভারী বৃষ্টিতে গুজরাটের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।
গত চারদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতে গুজরাটে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি মানুষকে। আর অন্তত ১২ হাজার মানুষকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবারই গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছিল। স্থলভাগে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজকোট, দ্বারকা, বরোদা, কচ্ছ এবং জামনগরে শুক্রবার অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শনিবারও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কচ্ছ-সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গুজরাটের সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলে বছরের এই সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া বেশ অস্বাভাবিক।
তীব্রতার কারণে ঘূর্ণিঝড়টির নাম আসনা রাখার প্রস্তাব করে পাকিস্তান। ১৮৯১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আগস্ট মাসে আরব সাগরে মাত্র তিনটি এই ধরনের ঝড় তৈরি হয়েছে। ১৯৭৬, ১৯৬৪ ও ১৯৪৪ সালে আগস্টে এই ধরনের ঝড় আঘাত হানে বলে রেকর্ড করা হয়েছে।