প্রকাশ: শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪, ২:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ৯টি লোহার দানবাক্স ৩ মাস ২৬ দিন পর আজ শনিবার খোলা হয়েছে। এতে এবার রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও টাকার পাশাপাশি দানবাক্সে মিলেছে চিঠি। এবার পাওয়া এক চিঠিতে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে সাক্ষাতের মনোবাসনা ব্যক্ত করেছেন এক ব্যক্তি।
চিঠিতে নামপরিচয় বিহীন একজন লিখেছেন- ‘১২ বছর ধরে আমার এই কষ্ট শুধু কুফরি জ্বালা। যারা আমারে এই কষ্টে জ্বালায়ছে, আমি তোমার কাছে তাদের বিচার চাই না। বিনিময়ে আমার নামাজের সাওয়াব তাদেরকে দিয়ে দিও। আমি মানুষের ক্ষতি করতে চাই না। আমি শুধু তোমাকে চাই আল্লাহ। তুমি আমার আল্লাহ। আমার জীবনের ইসলামের নায়ক মিজানুর রহমান আজহারী। আল্লাহ আমার মরণের আগে মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত চাই।’
এর আগে শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ৩ মাস ২৬ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। যেখানে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১৫ জন পুলিশ সদস্য ৯ জন আনসার সদস্য, ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ৩০ জন সেনা দস্য উপস্থিত ছিলেন। গণনা কাজে ২৪৫ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। দিনভর গণনা শেষে রাতে মোট টাকার পরিমাণ জানা যাবে।
পাগলা মসজিদে দান করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয় এই আশা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ এখানে দান করে থাকেন।
এদিকে, টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।