অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১৭ আগস্ট) তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।
এ সময় বাংলাদেশে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান গ্লোবাল সাউথের তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে এই বৈঠকে যোগ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার আগে এই সামিটে যোগ দেয়ার জন্য ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান মোদি। গতকাল শুক্রবার দুই দেশের নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি। তখনই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেয়ার বিষয়ে রাজি হন প্রধান উপদেষ্টা।
ফোনালাপে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান মোদি। অন্তর্বর্তী সরকারকে শুভকামনা জানিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন তিনি।
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি তাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি উত্থাপন করলে ড. ইউনূস জানান, সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রতিটি নাগরিককে সুরক্ষা দেয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত করা হয়েছে জানিয়ে মাঠ পর্যায় থেকে সংবাদ প্রকাশ করতে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেয়ার পর এটিই ড. ইউনূসের প্রথম কোনো কর্মকাণ্ড, যেখানে একাধিক দেশ যুক্ত রয়েছে। এই সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এর আয়োজক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।