শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস।
গতকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করে আমন্ত্রণ জানালে ড. ইউনূস তা গ্রহণ করেন। ফোনালাপে দুই নেতার মধ্যে সংখ্যালঘু ইস্যুসহ পারস্পরিক সম্পর্কের নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, নরেন্দ্র মোদি অধ্যাপক ইউনূসকে শনিবার নয়াদিল্লিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে সম্মত হন।
ফোনালাপে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান মোদি। অন্তর্বর্তী সরকারকে শুভকামনা জানিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন মোদি। এ ছাড়াও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।
ফোনে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
কথোপকথনে ড. ইউনূস ও মোদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদা বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আমরা চাই হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
প্রসঙ্গত, ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। তবে শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবেন না কি অন্য কোথাও আশ্রয় নেবেন, তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।