প্রকাশ: শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪, ১১:৪১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ছাত্রদের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। এরই মধ্যে বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও।
গুঞ্জন রয়েছে নতুন দল গঠন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সও সংবাদ প্রকাশ করে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কয়েকজন রয়টার্সের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।
তবে রয়টার্সে দেওয়া তাদের বক্তব্য ভুলভাবে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় করতে গঠিত লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মাহফুজ আলম। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন. ‘রাজনৈতিক দল খোলার কথা বলা হয়নি! রয়টার্সে দেওয়া আমার বক্তব্য ভুলভাবে এসেছে। আর সে ভুল বক্তব্যের বাজে বা উদ্দেশ্যমূলক অনুবাদ বাংলাদেশি মিডিয়া প্রচার করেছেন।
রয়টার্সে আমার বক্তব্য ছিল, আমরা রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে এখনই ভাবছি না। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নূতন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য আমরা কাজ করছি। গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখা এবং সরকারকে সংহত করা আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। রাষ্ট্র ও সমাজের নানা অংশীজনের সাথে কথা বলে আমরা আগামী বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়ে ও কাজ করবো।
এ কাজে অন্তত এক মাস লাগবে। আর, রয়টার্স ও লিখেছে এক মাস পর নির্ধারিত হবে আমরা দল করবো কি করবো না! তবে, রয়টার্স একটি ভুল করেছে, নাগরিকদের বদলে তারা ভোটার শব্দটি ব্যবহার করেছে। অথচ, নির্বাচনী রাজনীতি নিয়ে আমাদের খুব কমই কথা হয়েছে। কৃষ্ণ কৌশিককে আমি লিখেছি, উনি হয়তো এটা এডিট করে দিবেন।
রয়টার্সের সাংবাদিক বারবার জিজ্ঞাসা করছিলেন, দ্বিদলীয় কাঠামো নিয়ে এবং তা উতরে যেতে রাজনৈতিক দল করবো কি না। আমি বলেছি, আমরা দল বা ব্যক্তি নয়, ব্যবস্থার সংস্কার চাচ্ছি। যাতে যে দলই আসুক তাকে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হয়। কিন্তু, এমনভাবে বলা হলো যেন আমি মাইনাস টু চাচ্ছি। যেটা আমার উদ্দেশ্য না অবশ্যই।
আমাদের এখনকার লক্ষ্য, রাজনৈতিক লড়াইকে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে গঠনমূলক কাজের দিকে চালিত করা। উপযুক্ত সময়ে রাজনৈতিক গঠন/গড়ন কেমন হবে, তা সবাই জানতে পারবেন।’