প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ৭:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বহুল আলোচিত ‘আয়নাঘর’ নিয়ে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, ‘আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমি নির্দোষ। বুধবার (৭ আগস্ট) আমাকে তুলে নেওয়া হয়। আমি আট দিন ধরে আয়নাঘরে ছিলাম।’
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারককে এসব কথা বলেন ‘আয়নাঘর’ নিয়ে বিতর্কিত এ মেজর।
এদিকে, বৈষম্য ও কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী (২৪) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এ সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। এরপর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারও আগে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
জানা যায়, জিয়াউল আহসান সেনাবাহিনী, র্যাব, এনএসআই হয়ে সর্বশেষ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে ছিলেন। সব জায়গায় তার প্রধান কাজ ছিল সরকারবিরোধীদের নজরদারিতে রাখা এবং ‘শায়েস্তা’ করা। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
জিয়াউলের জন্যই প্রথমবারের মতো এনটিএমসির ‘মহাপরিচালক’ পদটি সৃষ্টি করা হয়। এনটিএমসি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ইন্টারসেপশন সহায়তা দিয়ে থাকে। এনটিএমসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তদন্তকারী সংস্থাসহ ৩০টি সংস্থা সরাসরি সংযুক্ত।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুঙ্গ মুহূর্তে দেশে ইন্টারনেট বন্ধে এই সংস্থার প্রধান জিয়াউল আহসানের ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়।