এ বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পড়ে গিয়েছে শঙ্কায়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আইসিসি দেশটিতে নারী ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞ আয়োজন নিয়ে সন্দিহান।
ফলে বাংলাদেশ থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আসরটির। তবে বিকল্প আয়োজক হতে ভারত অপরাগতা প্রকাশ করায় নতুন বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম।
সম্প্রতি ভারত ২০২৪ সালের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে, যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টুর্নামেন্টটি দেশেই রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০ আগস্ট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকের সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যদিও বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচি ভিন্ন ছিল।
ভারতের বর্ষাকালের আবহাওয়া এবং দেশটিতে পরের বছরই নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের কারণে বিসিসিআই এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ বলেন ‘তারা (আইসিসি) আমাদের জিজ্ঞেস করেছে যে আমরা বিশ্বকাপ আয়োজন করব কিনা। আমি স্পষ্টভাবে না বলেছি। আমরা বর্ষার মধ্যে আছি এবং এর পাশাপাশি আমরা পরের বছর নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করব।’
ভারতের অস্বীকৃতির পর, আইসিসি দুবাই এবং আবুধাবিকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে। তবে বিসিবি আইসিসির কাছে ৫ দিনের সময় চেয়েছে।
যাতে তারা টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারে। যদি এই সময় বাড়ানো হয়, তবে ২০ আগস্ট আইসিসি বোর্ড বৈঠকের দিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিসিবি বাংলাদেশেই টুর্নামেন্টটি রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যদিও দেশের চলমান অস্থিরতার কারণে বেশ কয়েকজন বিসিবি কর্মকর্তা এবং সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আত্মগোপনে রয়েছেন।
বিসিবি নিরাপত্তা আশ্বাসের জন্য বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং আশা করছে যে, তারা আইসিসির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবে।
টুর্নামেন্টটি ২৭ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং ৩ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১০টি দল এবং ২৩টি ম্যাচ নিয়ে মূল টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বমানের অবকাঠামো এবং বাংলাদেশের সঙ্গে অনুরূপ টাইম জোনের কারণে টুর্নামেন্ট আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কার মতো অন্যান্য দেশও আগ্রহ দেখিয়েছে, তবে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার জন্য মাত্র ৫০ দিন বাকি থাকায়, সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
২০ আগস্টের বৈঠকে মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহ-আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পুরুষদের টি-২০ বিশ্বকাপের বিষয়ে একটি তদন্তের শর্তাবলী চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে, নারী টি-২০ বিশ্বকাপের উপরেও একটি সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত।