প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ১১:৫৩ এএম আপডেট: ১৬.০৮.২০২৪ ১১:৫৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে এবার ইউরোপের দেশ সুইডেনে এমপক্সের আরও বিপজ্জনক ধরনে সংক্রমিত হওয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা দেশটিতে এটিই প্রথম।
সংস্থাটি বলেছে, এমপক্স শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তি আফ্রিকার একটি দেশে অবস্থানকালে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বর্তমানে এমপক্সের ‘ক্লেড ১’ ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
সুইডিশ সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক ঘোষণায় জানিয়েছে, আগামী দিনে এই অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী জ্যাকব ফরসমেড বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এখন নিশ্চিত হয়েছি যে, সুইডেনে আরও গুরুতর ধরণের এমপক্সের একটি কেস শনাক্ত হয়েছে যার নাম ক্লেড আই।
সম্প্রতি আফ্রিকার দেশগুলোতে এমপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। এ নিয়ে এখন বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মূলত কঙ্গো থেকেই প্রতিবেশী দেশগুলোতে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার (১৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফ্রিকার ১৩টি দেশে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং এর নতুন রূপটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত দুই বছরের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো এই ভাইরাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হলো।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, আজ জরুরি কমিটির বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরামর্শ আমি গ্রহণ করেছি।
পূর্বে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল এই ভাইরাস। গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে এই ভাইরাসের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের সময় কমপক্ষে ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়ায়। এতে ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি পুঁজ-ভরা ক্ষত সৃষ্টি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাব সামান্য দেখা গেলেও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কঙ্গোতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৭০০ মানুষ। বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান, কেনিয়া এবং রুয়ান্ডাতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।