প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ১:০৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চিত্র ও শিক্ষার্থীদের ত্যাগ স্মরণ করতেই আত্রাই নদীর উপর নব-নির্মিত বৃহত আত্রাই সেতুর উপরে দুই পাশের দেয়ালে কেউ দেয়াল ঘষে পরিষ্কার করছেন, কেউবা সেখানে রঙের প্রলেপ দেওয়া জায়গায় আঁকছেন লাল-সবুজের পতাকা। কেউবা আবার ব্যস্ত স্লোগান লেখায়। অপেশাদার হাতের ছোঁয়ায় দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর আর্টে এ যেন সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার বার্তা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গ্রাফিতির এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুল-মাদ্রাসা পড়ুয়া শত শত ছোট্ট বড় শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, দেয়াল কর্ম এবং গ্রাফিতিতে স্মরণ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের। তবে বেশিরভাগ জায়গায় স্থান পেয়েছে আত্রাই উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের শহীদ ফাহমিন। এছাড়া ‘ শোন মহাজন আমরা অনেক জন’ আমার রঙে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা এনেছি, আমরা দেখিনি ৭১ ২৪ দেখেছি’ বিকল্প কে? ’ কত হলো প্রাণ বলিদান’ বুকের ভেতর অনেক ঝড়’ বুক পেতেছি গুলি কর’ সবাই মিলে গড়বো দেশ, চলরে নওজোয়ান শোনাও পাতিয়া কান...’ ‘দেশটা কারোর বাপের না’, ‘স্বাধীনতার সূর্যোদয়’, ‘৩৬শে জুলাই’, আমি, তুমি, আমরা’, ‘বিকল্প কে? ছাত্র’, ‘কারার ঐ লৌহকপাট’, ‘এবার সভ্যতা আনব’, সংস্কারও আনবো’, ‘ধর্ম যার যার, দেশ সবার’, ‘নতুন স্বাধীনতা ২০২৪’ সহ বিভিন্ন ¯োগান লেখা হয়েছে দেয়ালগুলোতে।
শিক্ষার্থী মারিয়া সুলতানা মিতু বলেন, দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা শিক্ষার্থীদের একটি সৃজনশীল এবং প্রতিবাদী কর্মকান্ড। এতে সমাজের নানা সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবাদ যেমনি সামনে আসছে তেমনি আমাদের সৃজনশীলতা এবং শিল্পী সত্তার প্রকাশও হচ্ছে। আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই। সেজন্য সবার আগে পরিবেশ সুন্দর করা প্রয়োজন। তাই আমরা সবার জায়গা থেকে এগিয়ে এসেছি।
গ্রাফিতি আঁকা অরেক শিক্ষার্থী সাব্বির মাহমুদ জানান, দেয়াল চিত্র অঙ্কন করার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন জায়গায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ সময় সড়কে পড়ে থাকা ইট এবং ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছেন। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনে ঢাকায় নিহত আত্রাইয়ের “শহীদ ফাহমিনের স্মৃতি অম্লান রাখতে আত্রাই নদীর উপর নব-নির্মিত বৃহত আত্রাই সেতুর দক্ষিণ বাইপাসে তারা আপাতত রংতুলি দিয়ে “শহীদ ফাহমিন ” গোল চত্বর তৈরি করা হয়েছে। এ স্থানে যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা এড়াতে স্থায়ী গোল চত্বর নির্মাণের দাবিও জানান তিনি।