পোস্টে নাহিদ ইলাম লেখেন, কারো ফোন চেক করা, নিরস্ত্র-নিরপরাধ ব্যক্তির উপর চড়াও হওয়া নিন্দনীয়। একইভাবে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মিডিয়ায় বাজেভাবে উপস্থাপন মানবাধিকার লঙ্ঘন। অপরাধীদের আইনের প্রক্রিয়া অনুসারে বিচার করতে হবে।
তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের অভ্যুত্থান ন্যায় ও নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল। আমাদের যেমন প্রতিরোধ জারি রাখতে হবে অন্যদিকে নিজেদের অভ্যুত্থানের স্পিরিট বজায় রাখতে হবে।’
এদিকে মানুষের ফোন চেক করে হেনস্তা করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আজকের ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ফোন চেক করে হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্ট করে বলতে চায়, মানুষের প্রাইভেসি বিনষ্ট হয় এমন কোনোকিছুই আমরা সমর্থন করি না।
‘এমন কাজ পুরোনো বৈষম্যের দৃষ্টান্তকেই আবার নতুনভাবে ডেকে আনছে। তাই ফোন চেকসহ নাগরিকের ব্যক্তিজীবনের স্বাভাবিক যাত্রা বিনষ্ট হয় এমন কিছুই করবেন না।’