২৮তম হতে ৪২তম বিসিএস পর্যন্ত সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ২৫৯ জন প্রার্থীকে ভূতাপেক্ষিকভাবে ক্যাডার পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ তালিকায় রয়েছেন ১৩ বছর আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে বাদ পড়া ইব্রাহিম সাবিতও।
বুধবার (১৫ আগস্ট) সাবিত তার ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, তিনি যোগদান করতে পারবেন না।
তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো–
‘সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পরিচিতজনদের মেসেজ- তুই/আপনি তো বিসিএস ক্যাডার হয়ে গেলেন। বলে কি? আমি থাকি আমেরিকা, সম্প্রতি তো বিসিএস দেওয়াই হয়নি। যাই হোক, ১৩ বছর আগে বিসিএসের পুলিশ ভেরিফিকেশনে বাদ পড়েছিলাম: আলহামদুলিল্লাহ। এখন প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে একটা প্রাইভেট ফার্মে কর্মরত আছি, সেটাও আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশের কয়জন মানুষ ঠিকমতো জানত যে গত ১৫ বছরে দেশ থেকে শুধু ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়নি, অন্তত ২৫৯ জনকে বিসিএসের ভাইভাতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও গেজেট প্রকাশের সময় বাদ দেওয়া হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। চিন্তা করতে পারেন, কত লাখ মেধাবীকে বাদ দিয়ে শুধু দলকানা দালালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে?
আমার প্রফেশনাল ক্যারিয়ার নিয়ে আমার বিন্দুমাত্রও আক্ষেপ নেই। বিসিএস না হলেও আমি এশিয়া প্যাসিফিকের মতো স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছি, তিতাস গ্যাসে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মেধাক্রমে ছিলাম ১-এ, আমেরিকাতে ফুল ফান্ডিং নিয়ে উচ্চতর শিক্ষায় আসি, মাস্টার্স শেষে গত ৫ বছরে চারটি ফেস-টু-ফেস ইন্টারভিউ দিয়ে চারটি চাকরিই পেয়েছি। সম্প্রতি উপজেলা/কাউন্টি লেভেলে ডেপুটি চিফ অব ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের ইন্টারভিউ দিয়ে এলাম, আক্ষেপ করার কী কোনো কারণ আছে?
একটু হয়ত আছে- ১৩ বছর আগে এ চাকরিটা হয়ত আমি চেয়েছিলাম, হয়ত আমার রেমিট্যান্সের বদলে মেধা দেশের কাজে একটু হলেও লাগাতে পারতাম। একটু হিউমিলিয়েশনও কি ফেস করিনি? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পরিবার থেকে কাউকে বিসিএসের মতো সিস্টেমে চাকরি দেওয়া হবে না– একটা স্বৈরাচার সরকারের এমন আচরণের কি ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব ছিল আমার পরিচিতজনদের?
চাকরি না দিয়ে আমাকে যদি অপমান করার চেষ্টা হয়, তাহলে আমি তো বলব, আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন, দিয়েছেন উত্তম রিজিকও। বিভিন্ন প্রফেশনাল ও স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনে আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছি ভালো কিছু করার!
But I would like to note the bright side of all of these. Along the way, I have met lots of beautiful minds and learned a lot from them. আমার মনে পড়ে না, আমার আচরণে ইচ্ছে করে কাউকে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য কখনোই ছিল, কেউ কোনোভাবে কষ্ট পেলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। স্বাধীন বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক- মেধায়, মননে আর প্রাতিষ্ঠানিকতায়। এই মুহূর্তে এই চাকরিতে যোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না - ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে চিন্তা করব কীভাবে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারি। Thank you my family and all my friends for all of your supports.