প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪, ২:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে শিশুদের নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিটের শুনানিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী তৈমূর আলম খোন্দকার নিহত শিশুদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানান। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, দিলে কত টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন, এ বিষয়ে দ্রুতই সরকার পলিসি ডিসিশন নেবেন। পলিসি ডিসিশন নেওয়া না পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখার আর্জি জানান।
এ সময় হাইকোর্ট রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, সবে তো সরকার গঠন হলো। আপনি নিজেও তো এই সরকারের সফলতা চান। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। অ্যাটর্নি জেনারেল তো বলছেন সরকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয়। দেখেছেন তো পলিসি ডিসিশনে (কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়) হস্তক্ষেপ করার কারণে কতকিছু হয়ে গেল।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে শিশুদের হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না ও নিহত শিশুদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
এই রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খোন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হেলিকপ্টারের গুলিতে নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবার ১ কোটি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়।