প্রকাশ: রোববার, ৪ আগস্ট, ২০২৪, ১১:৫৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘অসহযোগ আন্দোলন’ কর্মসূচির দিন রেল চলাচলও বন্ধ। তবে সড়কে গণপরিবহন চললেও খুবই কম পরিমাণে চলাচল করছে।
রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর প্রগতি সরণি, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, রোকেয়া সরণি, মিরপুর রোড সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে৷
সড়কে বাস নেই বলতে গেলে৷ তুরাগ, রাইদা পরিবহনের দুই একটা বাস দেখলাম৷ তাতে খুব বেশি যাত্রীও নেই৷ সড়কের আশপাশে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ৷
সড়কে বাস চলাচলের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সড়কে বাস চলাচলের বিষয়ে আমরা কোনো বাস মালিক বা চালককে নির্দেশনা দেইনি৷ অবরোধকারীরা সড়কে বাস চলতে দিচ্ছে না৷ জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে৷ কোনো বাস মালিক সড়কে বাস নামাতে না চাইলে কী করা যাবে! দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা৷ তবে দেশের যা অবস্থা, যাত্রীরা এখন দূরে জার্নি করতে চাইবেন না৷
এদিকে দুই দিন স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচলের পর আজ রবিবার থেকে আবার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মহোদয়ের কাছ থেকে একটা নোটিশ পেয়েছি। তাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এদিকে রেলওয়ের পূর্বের এক চিঠিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত রোববার সব ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করা হল। যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশাপাশি পণ্যবাহী, তেলবাহী ট্রেন চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷
শনিবার রাতে রেলওয়ে ঢাকা অফিস থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৭ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে টানা ১৪ দিন বন্ধ ছিল৷ ট্রেন মাঝে একদিন চালু হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। গত ১ আগস্ট স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ কয়েকটি শহর থেকে আশপাশের গন্তব্যে মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়।