প্রকাশ: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ৯:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং পূর্বঘোষিত ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
পোস্টে তিনি লেখেন, সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার (৩ আগস্ট) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার (৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দেয়া হলো।
এতে তিনি আরও লিখেন, সারা দেশের আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান করা যাচ্ছে।
এদিকে শুক্রবারও (২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ডাকে গণমিছিল ও দ্রোহযাত্রায় উত্তাল ছিল রাজপথ। জুমার নামাজের পর রাজধানীর সায়েন্সল্যাব থেকে মিছিল বের করেন বিক্ষোভকারীরা। ৯ দফা দাবিতে স্লোগান দেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ মুসল্লিরা। সাম্প্রতিক সময়ে কোটা আন্দোলন কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ নিহতের ঘটনায় স্লোগান দেন সাধারণ মানুষ। পল্টন মোড় থেকে প্রেস ক্লাব হয়ে মিছিলটি মৎস্য ভবনের দিকে গেলে সামনে ও পেছনে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরে শাহবাগ ঘুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবারও একই পথ দিয়ে প্রেস ক্লাবে গিয়ে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এ সময় সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, গণগ্রেফতার বন্ধ, আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তিসহ নানা দাবি তুলে ধরেন মুসল্লিরা।
এদিন রাজপথে নামেন ইস্টওয়েস্ট, ব্র্যাক, ইউআইইউসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। একত্র হয়ে বের করেন গণমিছিল। পুলিশি নিরাপত্তায় মিছিলটি প্রগতি সরণি প্রদক্ষিণ করে আবারও ইস্টওয়েস্ট ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।
ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। সিলেটে বিক্ষোভাকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় শিশু ও সাংবাদিকসহ আহত হন বেশ কয়েকজন।
গত ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই সপ্তাহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললেও এক পর্যায়ে তা আর শান্তিপূর্ণ থাকেনি। দেশব্যাপী সংঘাত সংঘর্ষে অনেকে হতাহত হন।