‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে’ রাজধানীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল জোরদার করা হয়েছে।
রাজধানীর সচিবালয়, আগারগাঁও, ডিপ্লোম্যাটিক জোন, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর, কাকরাইল মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড়, উত্তরা, মতিঝিল শাপলা চত্বর, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, মোহাম্মদপুর-বসিলা এলাকায় টহল জোরদার করেছে বিজিবি।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন ও টহলে থাকবে বিজিবি।
এদিকে, রাজধানীর উত্তরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সংর্ঘষ হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সবার নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন।
বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তাক মিয়া (২৪)। তিনি পেশায় শ্রমিক। মোস্তাকের সঙ্গে কাজ করেন মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, মোস্তাক এখানে জুতা কিনতে এসেছিল। এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজধানীর শহীদ মিনার থেকে দ্রোহযাত্রায় ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে চার দফা দাবি আদায়ে আগামী শনিবার পর্যন্ত সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। দাবি মানা না হলে ওইদিন বিকেলে গণমিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হবে।
দাবিগুলো হলো, রোববারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার হওয়াদের মুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ও শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ।
দ্রোহযাত্রায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা, শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, আসিফ নজরুল, সামিনা লুৎফা, লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।