বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা সুপারস্টার নেইমার একসময় ইনজুরিতে পড়ে ফুটবল ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন। নেইমার স্বীকার করেছেন যে ইনজুরিতে গত মৌসুম না খেলতে পেরে অনেক দিনই তার ইচ্ছে হয়েছিল হাল ছেড়ে দিতে।
এর কারণ অবশ্য ছিল দীর্ঘমেয়াদী চোট থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে তার প্রতিনিয়ত সংগ্রাম।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে খেলার সময় তিনি গুরুতর হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন। সে সময় তিনি তার বাম হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) এবং মেনিসকাস ছিঁড়ে ফেলেন।
একসময় ব্রাজিলকে আবারও বিশ্ব ফুটবলে শীর্ষস্থানে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার কাঁধে। তবে ব্রাজিল ফুটবলের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র পারেননি সে কাজ করতে। এখনো ব্রাজিল ফুটবলের মধ্যমণি ভাবা হয় তাকে।
নেইমার তার নতুন ক্লাব আল-হিলালের হয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন থেকে সৌদি আরবে আসার পর প্রথম পাঁচটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মাত্র একবার গোল করতে সক্ষম হন।
৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার সামাজিক মাধ্যমে স্বীকার করেছেন যে, আরেকটি কঠিন ফিরে আসার প্রক্রিয়া তার সহনশীলতার চরম সীমায় নিয়ে গেছে।
ইনস্টাগ্রামে নেইমার লেখেন, ‘এই ইনজুরির পর, অনেক দিন কঠিন মনে হয়, অনেক দিন ইচ্ছা হয় হাল ছেড়ে দিতে। এত সবকিছু পেরোনো কঠিন। কিন্তু এখানে একজন যোদ্ধা আছে যে থামবে না যতক্ষণ না আমি যা চাই তা পাই! ঈশ্বর আমার শক্তি এবং দুর্গ। আমরা প্রতিদিন লড়াই চালিয়ে যাব।’
নেইমার ২০২৫ সাল পর্যন্ত সৌদি জায়ান্টদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন এবং এখনও সেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেননি যা সৌদি প্রো লিগ তার কাছ থেকে আশা করেছিল।
এই ব্রাজিলিয়ান তার দেশটির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও এই বছরের গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকা মিস করেছেন, যেখানে আর্জেন্টিনা সফলভাবে তাদের শিরোপা ধরে রেখেছে। আল-হিলালের প্রধান কোচ জর্জ জেসুস আশা করছেন যে নেইমার সেপ্টেম্বর থেকে তার দলের সাথে মাঠে ফিরতে পারবেন।
তার বর্তমান সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন কালিদু কুলিবালি, রুবেন নেভেস, আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ, সের্জেজ মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ, ম্যালকম এবং ইয়াসিন বুনুর মতো তারকারা।
আল-হিলালের ২০২৩-২৪ মৌসুমে ট্রফি জিতলেও নেইমার সেটিতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। সৌদি প্রো লিগেও তিনি বেশ কম খেলার সুযোগ পেয়েছেন তবে তবুও একটি বিজয়ীর পদক তারা ঠিকই লাভ করেছেন।