প্রকাশ: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ৩:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাশিয়ার মস্কো ও পশ্চিমাদের মধ্যে বন্দিবিনিময়ের বৃহত্তর অংশ হিসেবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচ ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মেরিন পল হুইল মুক্তি পেয়েছেন।
২৪ জন বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) তাদের ছেড়ে দিয়েছে রাশিয়া। শীতল যুদ্ধের অবসানের পর এ ধরনেরর বন্দিবিনিময়ের ঘটনা এটি। খবর রয়টার্সের
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, রাশিয়া, জার্মানি ও অন্য তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে এই বিনিময় নিয়ে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গোপনীয়তার সঙ্গে এই আলোচনা করা হয়। চুক্তিটির আওতায় মোট ২৪ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনকে রাশিয়া থেকে পশ্চিমে পাঠানো হয়েছে। আর পশ্চিমে আটক আট বন্দিকে রাশিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়।
জার্মানি নিশ্চিত করেছে, এই চুক্তিতে বার্লিনে নির্বাসিত ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ভাদিম ক্রাসিকভের নামও ছিল।
চুক্তিটিকে ‘কূটনীতি ও বন্ধুত্বে’র একটি প্রয়াস হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটনের মিত্রদের এই ‘সাহসী সিদ্ধান্তের’ জন্য প্রশংসাও করেছেন তিনি।
মস্কোয় অবতরণের পর বিমানবন্দরে রাশিয়ায় ফিরে আসা বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাদের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসা বন্দিদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভ্যর্থনা জানাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
নভেম্বরের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়বেন কমলা হ্যারিস। নির্বাচনি প্রচারণার চূড়ান্ত মাসগুলোতে এসে এই ধরনের একটি চুক্তিকে বাইডেন প্রশাসনের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে বহু-দেশীয় এই চুক্তিটিকে একটি এককালীন বিনিময় হিসেবেই মনে করছেন অনেকে। তাদের মতে, এই চুক্তি মার্কিন-রাশিয়ার তিক্ত সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করায় কোনও ভূমিকা রাখবে না।
২০২৩ সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক গার্সকোভিচকে গ্রেফতার করা হয়। আর ২০২২ সালে হুইলেনকে আটক করেছিল রাশিয়া। পরবর্তীতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।