প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ৫:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টেলিকম এবং তথ্যপ্রযুক্তি সরকারি-বেসরকারি খাতে বিভিন্নভাবেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমাদের বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরাসরি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমাদের বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; প্রাণহানি হয়েছে এবং আমাদের অনেক সেবাও ব্যহত হয়েছে। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনায় আমাদের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এই ক্ষতির পাশাপাশি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় যে সংকট, সেটি হচ্ছে যে আমাদের এই টেলিকম এবং আইটি সেক্টরটা অনেকটাই বিদেশি গ্রাহক এবং ক্লায়েন্ট বা বায়ারদের নির্ভর করে। আমাদের সফটওয়্যার প্রায় ৬০ থেকে ৭০টা দেশে রপ্তানি হয়। সেখানে তাদের সুনাম বজায় রেখে ক্লায়েন্ট ধরে রাখতে হয়। তো এই পরিস্থিতির কারণে যখন সেবা প্রদান করাটা বিঘ্ন হয়েছে, তার ফলে কিন্তু যারা আমাদের সফটওয়্যার এক্সপোর্টার, তাদের কিন্তু একটা বড় ধরনের আশ্বাস বা বিশ্বাসের ঘাটতি হয়েছে। আমাদের ফ্রিল্যান্সার বা আউটসোর্সিং যারা করে, সেটাও কিন্তু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন রাতে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও। তাতে বিপদে পড়েন তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সাররা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কাজ হারানোর শঙ্কাও তৈরি হয়।
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটে মোবাইলে আর্থিক লেনদেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। কোথাও কোথাও ব্যাংকের এটিএম বুথও বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে ই-কমার্স, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য; বন্ধ থাকে বন্দরের কার্যক্রম।
বেসরকারি খাতের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, ‘এখান থেকে উত্তরণের পথ কী হতে পারে, সে বিষয়ে আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমরা উদ্যোক্তাদের পরামর্শ নিয়েছি যে, কতটুকু তাদের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সহযোগিতা করতে পারি, আমাদের কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা ভেবেছি। এছাড়া যারা নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার আছেন, তাদের আয়ের উপর ভিত্তি করে আমরা একটা প্রক্রিয়ায় ইনসেনটিভ দেওয়ার একটা চেষ্টা করব।’