নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
এর আগে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, বুধবারের মধ্যেই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান জানিয়েছিলেন, এ নিয়ে সব ধরনের প্রক্রিয়া চলছে। যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
তারও আগে (মঙ্গলবার) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।’
কোন প্রক্রিয়ায় এদের নিষিদ্ধ করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্যে এ প্রশ্নের জবাব রয়েছে।’
এদিকে জামায়াত-শিবির একটি শক্তিশালী সংগঠন, এ মুহূর্তে তাদের নিষিদ্ধ করা হলে সরকার পরবর্তী সময়ে কোনো ঝামেলায় পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবি দীর্ঘদিনের। সর্বশেষ ১৬ জুলাই থেকে দেশে যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে; এর পেছনেও জামায়াত-শিবির সরাসরি জড়িত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে। পরে এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে যা সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে এক ঘণ্টাও লাগতে পারে আবার এক দিনও লাগতে পারে।
এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামকে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করা হলো। এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এ দলকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। আর এবার দলটিকে নিষিদ্ধ করা হলো জন নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে।