সহিংসতার ঘটনায় নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরপরাধ ও কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে কোনো অবস্থায় হয়রানি করা যাবে না।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরীহ তথা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুজব-আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিরপরাধ কেউ যাতে অপরাধী সাব্যস্ত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে দলেরও সিদ্ধান্ত রয়েছে। গ্রেফতার সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে নিরপরাধ কাউকে জড়ানো যাবে না। এ বিষয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলের কাছে সবাই নিরপরাধ, সবাই অসহায়। তাহলে প্রশ্ন- এই ধ্বংসযজ্ঞ চালাল কারা? কারা অগ্নিসংযোগ করল, রাষ্ট্রের সম্পদ ভষ্মীভূত করল? বাংলাদেশে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ কারা চালিয়েছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ কথায় কথায় সরকার ও আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা হয়। এ ঘটনাপ্রবাহে আমরা আক্রান্ত, আক্রমণকারী ছিলাম না। এখন অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল না। আজ অনেকেই বলে, আওয়ামী লীগের লোকজন কম ছিল, অনুপস্থিত ছিল। আমি বলতে চাই, দলীয় লোকজনকে অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হয়ে কোথাও অবস্থান নিতে বলা হয়নি। আমরা তো আক্রান্ত হয়েছি। নিরস্ত্ররা সশস্ত্রদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছি।
মির্জা ফখরুরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। কোথা থেকে নির্দেশ এসেছে, উসকানি এসেছে, কোথায় কোথায় বৈঠক করেছে, অর্থ জুগিয়েছে, কোন কৌশলে অর্থ পাঠিয়েছে, সেটা আমরা জানি। সব ষড়যন্ত্র এখন জাতির কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
মিথ্যার বেসাতি করে, আবোল-তাবোল বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।