প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪, ২:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ে ভূমিধসে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭০ জন। ধ্বংসস্তূপে আরও অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভোরে জেলার মেপ্পাদি এবং চুরামালার আশেপাশে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে ওয়েনাড়ে। এর জেরে মেপ্পাদির কাছে একাধিক পাহাড়ি এলাকায় ধস নেমেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলোর জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ভোরে মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধস নামে। ঘণ্টাতিনেক পরে দ্বিতীয় ধস নামে একটি স্কুলের কাছে। এর ফলে আশপাশের বাড়িঘর ও দোকানের মধ্যে কাদাপানি ঢুকে যায়। ওই এলাকায় একটি সেতুও ভেঙে পড়ে। আটকা পড়ে অন্তত চারশো পরিবার। ভেসে যায় একাধিক গাড়ি।
ভোরেই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। বিমানবাহিনীর দু’টি হেলিকপ্টারকে উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয়েছে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সব দফতর এবং বিভাগকে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে দিনভর অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর।
উদ্ধার তৎপরতার সঙ্গে জড়িত এক স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ পাডিক্কলপারমবান বলেছেন, মধ্যরাতের দিকে ওই এলাকায় অন্তত তিনটি ভূমিধস হয়েছে। মুন্ডক্কাই এস্টেট থেকে চুরমালার সাথে সংযোগকারী সেতুটি ভেসে যাওয়ায় যারা এচা বাগানে কাজ করছিলেন এবং ভিতরে অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন তাদের আটকে বা নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, শত শত লোক আটকা পড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশ ঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই লোকসভা কেন্দ্রের সাবেক সাংসদ রাহুল গান্ধীও উদ্ধারকাজের বিষয়ে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন।